প্রেমের জের ধরে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবারের এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নির্যাতিত ওই ছাত্রলীগ নেতা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় নুরুল আমিন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনাটি পাশ থেকে একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, প্যান্ট ও লাল রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবককে গাছের সঙ্গ বেঁধে নির্যাতন করছেন কয়েকজন। ওই সময় যুবক বারবার নিজেকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। ভিডিওতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা সবাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একই বাড়ির বাসিন্দা।
নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতার নাম রিয়াদ উদ্দিন শাকিল (২২)। তিনি হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শাকিলের সঙ্গে মামলার ১ নম্বর আসামি শরিফের বোনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারে শরিফ একাধিকবার শাকিলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন শাকিল উপজেলা সদরের ওচখালী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরিফসহ কয়েকজন যুবক তাঁর গতিরোধ করেন। চোখ বেঁধে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে বাড়ির সামনের একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় নুরুল আমিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নুরুল আমিন মামলার ১ নম্বর আসামি শরিফের বাবা। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে তাঁর উপস্থিতি দেখা যায়।
শাকিলের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তাঁকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে তাঁকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারীরা তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তাঁর চিৎকারে এলাকার অনেক লোক এসে ভিড় করে। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে তাঁকে থেকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন অনেকে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’