লক্ষ্মীপুরে জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের গত ৪ আগস্ট শহরের তমিজ মার্কেট ও মাদাম ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, গুলি করে চার শিক্ষার্থীকে হত্যা, বিস্ফোরক ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কামাল উদ্দিন খোকন, কমলনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর, রায়পুর ইউপির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউসুফ, কমলনগর উপজেলার সবুজ মেম্বার, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মী।
গ্রেপ্তার মীর শাহ আলম সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাগর কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। এ ছাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোকন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। স্ব স্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সদর থানা এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি ও চার শিক্ষার্থীকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ হামছাদী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মীর শাহ আলম সম্প্রতি শেখ হাসিনার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্নভাবে কথোপকথন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আকতার হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত।