বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহীদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা-ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না।’
আজ শনিবার ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১০৫ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে দিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা যেহেতু জীবন দিতে শিখে গিয়েছি।’
সারজিস বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে। ষড়যন্ত্র করছে নানামুখী।’ তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘এখনো যারা এই আন্দোলন নিয়ে সাফাই গাচ্ছে, তারা শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট। যা সে এত বছর লালন করেছে। এসব কীটদের যদি পাখা গজায় তাহলে আজ থেকে পাঁচ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, এ জন্য সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবারও জীবনবাজি রাখতে আমরা প্রস্তুত।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। যে কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে—কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব।’