চট্টগ্রামের পশ্চিম পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়ক শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকরী নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ও শ্রম আদালতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সড়ক শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন কেইপিজেড গেটে সড়ক শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের শ্রমিকদের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি প্রার্থী আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. ইসমাইল, আবুল মনছুর, আবদুর রহিম, নুরুল হক, জরিফ আলী, মো. সোহেল, এয়াকুব আলী, আবুল কাশেম, মো. এয়াকুব, আনোয়ার হোসেন, মো. সেলিম, মো. গিয়াস, শাহাদত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া, ফজল করিম মিন্টু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছাফা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২৮ জন প্রার্থীর জামানত নিয়ে নির্বাচনের আগে উধাও হয়ে গেছেন। এরপর তিনি নির্বাচন বন্ধ ও তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচিত করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
আমরা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি। আদালতে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইসমাইল বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সংগঠনের সদস্য ও প্রার্থীদের জামানতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যার কোনো হিসাবও দিতে পারছেন না। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, ‘আমি আমার বাড়িতে আছি, কোথায় উধাও হব? এ অভিযোগটা মিথ্যা ও বানোয়াট। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম পশ্চিম পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়ক শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকরী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত মঙ্গলবার নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন শ্রম আদালত।