প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়ার যেমন সাংবিধানিক অধিকার, তেমনি দ্রুত বিচার প্রদান করা বিচারপতিদের নৈতিকতার কাজ।
আজ শুক্রবার বেলা ১টায় বান্দরবান জেলা দায়রা ও জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কোনো নাগরিক যেন বিচার থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখার আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে বিচার চাওয়া-পাওয়ার আশায় আদালতে ছুটে আসেন মানুষ। যার ফলে সাধারণ মানুষ ও বিচারপতিদের ক্লান্তি দূর করতে দেশের প্রতিটি জেলায় আদালতের প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারটি স্থাপন করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, সারা দেশের বিচারক সংকট ও বিচারকদের বসার ভবনসহ সকল সংকট নিরসনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই সকল সংকট কেটে যাবে, আর বিচার প্রার্থীদের দ্রুত সেবা দিতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
এ সময় গণপূর্ত অধিদপ্তর অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ের বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অনুষ্ঠানে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং শিশু আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তর বিভাগে প্রকৌশলী ফয়েজুর রহমানসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।