চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. কলিম উদ্দিন (৩৩) হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন তার মা জাহানার বেগম ওরফে বেবি। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট সাতজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের উত্তর কলাবাড়িয়া এলাকার মো. সাখাওয়াত হোসেন সাখা (৪২) ও তাঁর ভাই মো. সুমন (৩৬), একই ইউনিয়নের মধ্যম কলাবাড়িয়া এলাকার নুর ছাফা (৪০), মিরসরাই ভাঙাপুল ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা (বর্তমানে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের উত্তর কলাবাড়িয়ার) মো. রাকিব (২৬), উত্তর কলাবাড়িয়ার বাহার উদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয় (২৮), বারৈয়াঢালার পশ্চিম ধর্মপুর গ্রামের মো. রিয়াজ (২৭) এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শ গ্রামের মো. ইমন (৩০)। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নিহতের মায়ের দাবি, তার ছেলে কলিম একজন সিএনজি অটোচালক এবং বালু ব্যবসায়ী। কলিম সব সময় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে এই আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কলিম হত্যার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই আসামিদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে ব্যাবসায়িক বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা কলিম উদ্দিনকে গুরুতর আহত করেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।