কক্সবাজারের টেকনাফে গত সোমবার মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারি (৩০) নামের এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। ওই মরদেহ ময়নাতদন্তে পেটে ৮ পোটলা ইয়াবা মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, যুবকের ময়নাতদন্তের সময় পেটে কনডম মোড়ানো ৮ পোটলা ইয়াবা পাওয়া গেছে। তবে কত ইয়াবা আছে তা বলা যাচ্ছে না। পোটলাগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া পেটে আরও কিছু গলিত ইয়াবা পাওয়া গেছে। একটি পোটলা ফেটে গিয়ে বিষক্রিয়ায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয় শান্তি দেবীর মালিকানাধীন জনৈক মোহাম্মদ আজিজের ভাড়া বাসার রান্নাঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। আড়াই বছর আগে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ আজিজ বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। তবে বাসায় আজিজ ছাড়া পরিবারের অন্য কেউ থাকতো না। আর মাসুদ রানা মাঝে মধ্যে বাসাটিতে আসা-যাওয়া করতো।
আব্দুল হালিম জানান, ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আজিজ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের ছেলে সুমন দেবকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্ল্যাডেবা এলাকা থেকে মাসুদ রানার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাসুদ রানা ওরফে ইদ্রিস পাটোয়ারি রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকার মৃত মান্নান ব্যাপারীর ছেলে।