ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় কয়েক হাজার কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুতের সংযোগ ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। গাছপালা ভেঙে বন্ধ রয়েছে আনোয়ারা-বাঁশখালী প্রধান সড়কের যোগাযোগ।
আজ বুধবার সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পুঁইছড়ি, ছনুয়া, চাম্বল, শিলকৃপ, গণ্ডামারা, সরল, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, সাধনপুর, পুকুরিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও সবজিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাঁশখালীতে সবজি ও ধানখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানার পরে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’
চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রচুর গাছপালা ভেঙে ইউনিয়নের প্রধান সড়কে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। খেতের সবজি ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাঁশখালী আঞ্চলিক কর্মকর্তা (ডিজিএম) রিশু কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাঁশখালীতে অন্তত ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ার তথ্য পেয়েছি। তার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমাদের লোকজন ভোরবেলা থেকে গাছপালা কাটার কাজে নিয়োজিত আছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে যাওয়া বাঁশখালীর যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত ক্ষতির তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।