কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তৃতীয় দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেছেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা হাসপাতালের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এতে কয়েকজন রোগী আহতও হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় সৈয়দ মোহাম্মদ মোস্তাকিম নামে এক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এক রোগীর আত্মীয় বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ উত্তর জোনের উপকমিশনার মোখলেছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে কিছু লোক বিক্ষোভ করেছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে পুলিশের ওপর একজন চড়াও হন। তখন তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) কোনো মামলা হয়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা এক নারী কিডনি রোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধার করে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এখন আমাদের মরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই! হাসপাতাল বলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফি বাড়িয়েছে। সরকার কি মেশিন কিনতে পারে না? সরকার মেশিন কিনলে তো আমরা কোনোভাবে বাঁচতে পারতাম। আজকে আমাদের বিক্ষোভে এসে পুলিশ হামলা করেছে।’
তথ্যমতে, ভারতের প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এতদিন ধরে সরকারিভাবে প্রতি সেশনে ৫১০ টাকা ও বেসরকারিভাবে ২ হাজার ৭৯৫ টাকা করে ফি নিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে সরকারিভাবে ৫৩৫ ও বেসরকারিভাবে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই আন্দোলন করছেন রোগী ও স্বজনেরা। গত রোববার ও সোমবারও বিক্ষোভ করেন রোগীরা।