চট্টগ্রামের আলীকদম উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে নির্বাচনের হালচাল। নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীর তুলনায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বেশি সরব দেখা যাচ্ছে। বহিষ্কারের শঙ্কা উড়িয়ে তাঁরা দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী ২৮ নভেম্বর আলীকদম উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ সময় ৪ নভেম্বর। এরই মাঝে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর বদলে গেছে নির্বাচনী প্রচারণার ধরন। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেও তা গায়ে মাখছেন না বিদ্রোহীরা। উল্টো দলের সিদ্ধান্তকে একঘেয়েমি আখ্যা দিয়ে তাঁদের জোরালো প্রচারণা চালাতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়ি মং মার্মা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কিছুদিন বাকি আছে। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বর্তমান অবস্থান থেকে সরে আসবেন বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে আলীকদম ১ নম্বর সদর ইউনিয়ন ও ৩ নম্বর নয়াপাড়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিপক্ষ সরকার দলের মনোনীত প্রার্থীদের অবস্থান জানান দিতে বেশ প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওঠান বৈঠক ও জনসংযোগ করতে দেখা যায় তাঁদের। একই পরিস্থিতি ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন ও ৪ নম্বর কুরুকপাতা ইউনিয়নে।
স্থানীয়রা মনে করেন, এবার বিএনপি-সমর্থিত কোনো প্রার্থী না থাকায় সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তরা এগিয়ে থাকলেও তাঁদের পরাজয়ের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।