হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

মাটিচাপা পাঁচ সন্তান, পাহাড় ধসে ছৈয়দ আলমের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)

ছৈয়দ আলম (৫০)। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পানখালি ভিলেজার পাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। এই কৃষকের সাত ছেলে–মেয়ে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি ছয়জন ও স্ত্রী রেহেনা বেগমকে (৪০) নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছিলেন। বড় ছেলে আব্দুশ শুক্কুর (১৮) পড়ালেখা বাদ দিয়ে খেতে বাবাকে সাহায্য করতেন। তাঁদের আয়ে বাকিদের পড়ালেখার খরচ চলতো। এই পড়ুয়া ছেলে–মেয়েদর নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল ছৈয়দ আলমের।

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! পাহাড় থেকে ধসে পড়া বিশাল এক মাটির খণ্ড মুহূর্তে কেড়ে নিল পাঁচ সন্তানকে। সেই সঙ্গে খুন হয়ে গেল ছৈয়দ আলমের স্বপ্ন। তবে অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেছেন ছৈয়দ আলম, তাঁর স্ত্রী ও আট মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশু মরিয়ম।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে পাঁচ সন্তানকে হারান ছৈয়দ আলম।

আজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ প্রধান সড়কের হ্নীলা বাজার থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে ছৈয়দ আলমের দুমড়ে মুচড়ে পড়া বাড়ি। চারদিকে বেড়া, উপরে টিনের চালা ছিল। এখন শুধু চালাটা দেখা যাচ্ছে। বাড়ির বেশির ভাগ অংশ মাটি নিচে।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় ছৈয়দ আলম ও হারুন রশিদ ও আহত গৃহকর্তা ছৈয়দ আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে রাত ৯টার দিকে ঘুমাতে যান তাঁরা। বাড়িতে উত্তর দক্ষিণে দুইটা কক্ষ। উত্তরের কক্ষে ছৈয়দ আলম ও তাঁর স্ত্রী রেহেনা বেগম শিশু মরিয়মকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। অপর কক্ষে আব্দুশ শুক্কুর (১৮), কহিনুর আক্তার (১৪), মো. জোবায়ের (১২), জায়নুফা আক্তার (১১), আব্দুল লতিফ (৭) ঘুমাতে যান। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাপ–বেটা বাড়ির পাশের সবজি খেতের পরিচর্যার পরামর্শ ও পরিকল্পনা করেন।

কহিনুর উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণি, মো. জোবায়ের ও জায়নুফা পূর্ব পানখালী আজিজিয়া নুরানী মাদ্রাসার চতুর্থ ও ৭ বছরের আব্দুল লতিফ উম্মেল কুরা নুরানী মাদ্রাসায় শিশু শ্রেণিতে পড়তো। আজিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আহমদ উল্লাহ জানান, চতুর্থ শ্রেণির জোবায়ের ও জায়নুফা তাঁর প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছিল। তারা অত্যন্ত মেধাবী ছিল।

সকালটা ছৈয়দ আলমের জন্য বিভীষিকা হয়ে হাজির হয়। আব্দুশ শুক্কুরসহ পাঁচ সন্তান মাটি চাপা পড়ে মারা যান। পঙ্গু হয়ে গেছেন ছৈয়দ আলমও। স্ত্রী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুটি হাসপাতালে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনাল পারভেজ ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাভেজ চৌধুরী। ছৈয়দ আলমকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদি ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

লাঠিতে ভর দিয়ে করতে হয় যাতায়াত, একই পরিবারে ছয় প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের হার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি, অর্ধেকই পথচারী

ভবন পরিকল্পনা অনুমোদনে ঘুষ দাবি, সিডিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

ফটিকছড়িতে ইজিবাইক উল্টে নারী নিহত

বসতঘরে আগুনে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ: চার দিন পর হত্যা মামলা

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

চুরির স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকায় রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল, গ্রেপ্তার ৪

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

চালককে শ্বাসরোধ করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পটিয়ায় জনতার হাতে যুবক আটক