বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায়, সে হাত আমরা ভেঙে দেব।’ আজ বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের মাঠে ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে ক্ষান্ত হয় নাই, দিল্লিতে বসে এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তবে তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।’
মাসউদ বলেন, ‘অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। দিল্লিতে বসে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলমত–নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একসঙ্গে বসে খায়, একসঙ্গে স্লোগান ধরে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে এই ছাত্রনেতা হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই হয় নাই বলেই দ্বীপবাসী এখনো এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. ইউনুসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
এ সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নিজের রাজনীতির স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। তার মতের বিরুদ্ধে থাকা এ এলাকার মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানের পর মুক্তি পেয়েছে। মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন করে হাতিয়ায় আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। যেখানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে, সেখানে সবাইকে সম্মিলিতভাবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।