চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় কচুর ভেতরে ইয়াবা পাচারের সময় তিন বোনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ফাতেমা বেগম প্রকাশ আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৬ শ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৬ লাখ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আপন তিন বোন। এর মধ্যে ফাতেমা মাদক কারবারি ও পাচারের মূল হোতা। তাঁরা মোট আট ভাই-বোন। তাঁরা সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেন মনে করে পরিবারের সদস্যরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছেন।
নুরুল আবছার জানান, তাঁরা মাদক বহনে অত্যন্ত দক্ষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমস্ত চেকপোস্ট এড়াতে একটি অন্য পথ অনুসরণ করে ইয়াবা পাচার করতেন। কক্সবাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত আসার পর পুলিশ ও অন্যান্য চেকপোস্ট এড়াতে ফাশিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করতেন। পরে তাঁরা সবাই সাতকানিয়ার কেরানিরহাটে এসে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যেতেন। একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করত, অন্যটি কেরানিরহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করত এবং হাটহাজারী পর্যন্ত কোনো চেক ছাড়াই পৌঁছাত।
নুরুল আবছার বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে স্বল্পমূল্যে ইয়াবা কিনে পরে তা বেশি মুনাফা লাভের আশায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের নিকট পাচার করে আসছেন। তাঁরা সব সময়ই নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করে আসছেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে আগামীকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।