হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

করোনা কমে যাওয়ায় বন্ধ হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রতিদিনই কমছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে খরচ কমাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের কয়েকটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের একমাত্র আইসোলেশন সেন্টারটির কার্যক্রমও বন্ধ। তবে করোনা বাড়লে এসব আইসোলেশন সেন্টার পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অধীনে গড়ে ওঠা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ১৪ জুলাই থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় হাসপাতালটিতে। এখানে করোনা আর আইসিইউ মিলে ৫০টি শয্যা ছিল। একজন সহকারী পরিচালক, দুজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সাতজন মেডিকেল অফিসার, ১৭ জন নার্স ও সরকারি-বেসরকারি ৬ জন কর্মচারী এই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রমও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু আছে। ১৮৫ শয্যার বিপরীতে হাসপাতালে এখন রোগী ভর্তি আছেন মাত্র ৫০ জন। 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ২৮ জন, কেবিনে ৩ জন, আইসিইউতে ১১ জন, এইচডিইউতে ৪, গাইনী ওয়ার্ডে ৩, সার্জারি ওয়ার্ডে একজনসহ মোট ৫০ জন রোগী ভর্তি আছেন। 

চমেক হাসপাতালের ইয়েলো ও রেড জোন মিলে ৩০০ শয্যায় করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালটিতে করোনা উপসর্গের রোগী ৫১ জন আর করোনা রোগী আছেন ১৭ জন। 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবীর জানান, রোগী কমে যাওয়ায় ইয়েলো ও রেডজোনের আলাদা কার্যক্রম বন্ধ করে শুধু একটি ওয়ার্ড রাখা হচ্ছে। সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। 

চলতি বছরের এপ্রিলের দিকে করোনা রোগী বাড়ায় হাসপাতালে শয্যা খালি ছিল না। পরে ৬ এপ্রিল নগরের লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে যাত্রা শুরু করে ৫০ শয্যার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আইসোলেশন সেন্টার। সেটিরও কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫০ শয্যা নিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর চিকিৎসা। বর্তমানে হাসপাতালটিতে করোনা রোগী ৫ জন ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মামুন। 

শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, পার্ক ভিউ, মেট্রোপলিটন, ম্যাক্স, মা ও শিশু হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা রোগী ভর্তি কমে যাওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ম্যাক্স হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য দুই ফ্লোরে ৬৩টি শয্যা ছিল। রোগী ভর্তি কমে যাওয়ায় এক ফ্লোরের আইসোলেশন ওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ভর্তি আছেন মাত্র ৩ জন। 

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, খরচ কমাতেই সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। 

দাবি পূরণে প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট হবে: ৮ দলের সমাবেশে জামায়াত আমির

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, একজন বলছিলেন—‘গুলি কর’

পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার আইনজীবী জামিনে মুক্ত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারার প্রতিবাদে দিনে লাল পতাকা, রাতে মশাল মিছিল

চমেক হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি