স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ এই সরকারের কারণে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানছে। বটমলেস বাস্কেট (তলাবিহীন ঝুড়ি) থেকে দেশকে সম্ভাবনাময় দেশে রূপান্তর করেছেন শেখ হাসিনা। এটা শেখ হাসিনার দক্ষতারই প্রমাণ।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পটিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘পটিয়া উৎসবের’ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। দেশের যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে চট্টগ্রামের পটিয়াও এগিয়ে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও পটিয়া এসেছি। তখনকার আর এখনকার পটিয়া অন্যরকম। হুইপ সামশুল হক চৌধুরী পটিয়াকে মডেল উপজেলা করতে অসামান্য অবদান রাখছেন।’
পটিয়া উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিকার ফারুক তাহের ও মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভির, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, এসপি জাহাঙ্গীর আলম, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, উৎসবের কো-চেয়ারম্যান কবি রাশেদ রউফ, সদস্যসচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, পটিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।
অনুষ্ঠানে পটিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩২ জন অগ্নিগর্ভা সন্তানদের হাতে মরণোত্তর স্বর্ণস্মারক সম্মাননা তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামীকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠানের ২য় দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি এ দিন পটিয়ারত্ন ঘোষিত ১১ জন বিশিষ্ট গুণীজনকে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেবেন।