হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের ৫ নেতা 

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের ২২ তম সম্মেলন হয়েছে গতকাল শনিবার। নতুন এ কমিটিতে চট্টগ্রামের পাঁচ নেতা স্থান পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চার নেতার পূর্বের পদে বহাল রয়েছে এবং একজনের পদ পরিবর্তন করে দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। চট্টগ্রামের এই পাঁচ নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করায় খুশি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। 

নতুন কমিটির সভাপতিত্বে স্থান পান আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা চট্টগ্রামের মিরসরাই সংসদীয় আসনের দলীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি গত কমিটিতে ছয়জনের পর থাকলেও এবার নতুন কমিটিতে তাঁকে চতুর্থ স্থানে রাখা হয়েছে। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন চট্টগ্রামের আরও দুই সন্তান ড. হাছান মাহমুদ ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের আমিনুল ইসলাম আমিন। 

পদোন্নতি পেয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে যুগ্ম সম্পাদক থেকে ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আর আমিনুল ইসলাম উপপ্রচার ও প্রকাশনা থেকে পদোন্নতি পেয়ে করা হয়েছে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। 

ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার বিকেলে জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁদের নির্বাচিত করা হয়েছে। 

পৃথকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে নতুন কমিটির বাকিদের নাম ঘোষণা করেন সভাপতি শেখ হাসিনা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ঘায়েল করতে এ মুহূর্তে হাছান মাহমুদই সেরা। তথ্যভিত্তিক বিবৃতি, উপস্থিত বাক্যবাণে বিরোধীশক্তিকে মোকাবিলা করার মতো দলে যে কয়েকজন নেতা আছেন তাঁদের অন্যতম হাছান মাহমুদ। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামাল দিয়ে একই সঙ্গে দলের অর্পিত দায়িত্ব, উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন রাতদিন একাকার করে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও হয়েছেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২০০২ সালের সম্মেলন থেকে আছেন ড. হাছান মাহমুদ। সেই সম্মেলন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অভিষেক হওয়া ড. হাছান ২০০৯ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ১৮ তম সম্মেলনে ফের একই পদে বহাল থাকেন। ওই সময় তিনি সরকারের বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী। ২০১২ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্রের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে স্বপদে বহাল থাকেন তিনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ সম্মেলনে পদোন্নতি পেয়ে তিনি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অন্যতম মুখপাত্র মনোনীত হন। 

একইভাবে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমিনুল ইসলাম আমিনের অভিষেক হয় ২০০৯ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ১৮ তম সম্মেলনে কার্যকরী কমিটির সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর ২০১২ সালে সদস্য, ২০১৬ সালে উপপ্রচার সম্পাদক ও ২০১৯ সালে ফের উপপ্রচার সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। দলীয় দায়িত্বের বাইরেও গত এক বছরে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজের সঞ্চালকের। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের আওয়ামী প্রেমীদের দৃষ্টি কাড়ার পাশাপাশি নিজের যোগ্যতা, সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। এসব কারণে এবার তার প্রমোশন হয়েছে বলে জানা গেছে নীতিনির্ধারণী মহল থেকে। 

এদিকে দলের উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে ড. অনুপম সেন এবং ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া। তাঁরা গত উপদেষ্টা পরিষদেও ছিলেন। এর মধ্যে ড. অনুপম সেন চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে দপ্তর সম্পাদক পদে বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদে সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, ধর্ম বিষয়ক পদে কক্সবাজারের সিরাজুল ইসলাম মোস্তাফাকেও স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। 

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টেদেবে পাহাড়ি ভোটার

চাঁদপুরে হেফাজতে নির্যাতন, ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন: তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনা

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ভোটের মাঠে যারা বাধা হবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না: আমীর খসরু