লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোশাররফ হোসেন নামে এক তহশিলদারকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রামগতি চর সেকান্দর এলাকার আবদুল গোফরানের ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা ও এবাদ উল্যার ছেলে মো. চৌধুরী বকত। রায়ে ওই মামলার ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মোশাররফ তহশিলদারের ভাই আবদুল গোফরান, তাঁর ছেলে মো. ইসমাইল, খুরশিদ আলম ও মো. রাশেদ এবং তাদের আত্মীয় নুরুল আমিন ও মমিন উল্লা। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা জজ আদালতের কৌঁসুলি জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুই আসামির সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে রামগতির চর সেকান্দর এলাকার বাসিন্দা মৃত দ্বারা বক্স মাঝির দুই ছেলে আবদুল গোফরান ও মোশাররফ হোসেন তহশিলদারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর সূত্র ধরে ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই সকালে মোশাররফ তহশিলদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন মোশাররফ তহশিলদারের ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী ওরফে রাশেদুল আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় হত্যা মামলা করেন। এরা সবাই রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন পরে মারা যান। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে প্রায় ২৫ বছর পর এই রায় দেন আদালত।