চট্টগ্রামে গত দুই দিন তেমন বৃষ্টি হয়নি। কয়েক পশলা পড়ার পরই থেমে যায় বৃষ্টি। তবু শহরের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে এখনো নামেনি পানি। এমনকি বহদ্দারহাটে অবস্থিত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিমের বাড়ির সামনের সড়ক, উঠোন আর নিচতলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরেও দেখা গেছে পানি।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, মেয়রের বাড়ির মতো শহরের বাদুরতলার জঙ্গী শাহ লেন শাহি আবাসিক এলাকা, বাড়ইপাড়া, খাঁজা রোড, সৈয়দ শাহ রোড, বড় মিয়া মসজিদ এলাকা, আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, ফরিদারপাড়া, হালিশহরের অনেক নিচু এলাকার বাড়ি ঘরের নিচতলায় এখনো পানি আটকে আছে।
ভুক্তভোগী হালিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানির কারণে চার দিন ধরে চোখে ঘুম নাই। এখন বৃষ্টি নেই। তবু বাড়িতে হাঁটুর ওপর পানি। সে জন্য জিনিসপত্র সব খাটের ওপর রেখে আত্মীয়ের বাসায় চলে যাচ্ছি।’
চকবাজার-রাহাত্তারপুর সড়কের ঘাইস্যাপাড়া এলাকায়ও এখনো হাঁটুপানি। সেখানকার একটি ভবনের নিচতলার বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে বলতে গেলে একপ্রকার পানিবন্দী হয়ে আছি। রান্নাবান্না বন্ধ। শুকনো খাবারই ভরসা।’
ভারী বর্ষণের কারণে শুক্রবার রাত থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে পানি উঠে যায়। শনিবার অনেক জায়গা থেকে পানি সরে যায়। কিন্তু রোববার ভারী বর্ষণে পুনরায় ফিরে আসে পানি। বেশির ভাগ সড়ক থেকে পানি সরে গেলেও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে আটকে আছে হাঁটুপানি।
এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নালা-নর্দমায় ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা থাকায় পানি সহজে সরতে পারছে না। উল্টো কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিও খাল হয়ে বাসা-বাড়িগুলোতে ঢুকে যাচ্ছে। একদিকে জমে থাকা পানি নামতে পারছে না, অন্যদিকে জোয়ারের পানি এসে মেশায় দুর্ভোগ কমছে না।