লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেছেন এক মা। বুধবার সন্ধ্যায় রায়পুর জনসেবা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. রোমান হোসেন।
নবজাতকের বাবা মো. সুমন জানান, সোমবার সকালে তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাচ্চা রেখে পালিয়ে যান তিনি।
সুমন বলেন, ‘দুই বছর আগে ইমুকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। দেড় বছর ধরে আমি ঢাকা শহরে যাত্রীবাহী পরিবহন চালাই। বিয়ের পর থেকে সামান্য তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়া হতো। অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক করত। একাধিকবার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বৈঠক করেও তাঁকে সঠিক পথে আনতে ও সংসার করতে পারিনি। থানায়ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে নানাভাবে হয়রানি করে সে। অবশেষে সন্তানের কথা চিন্তা করে ঢাকায় নিয়ে একসঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করি। গত কয়েক দিন আগে তাঁকে নিয়ে বাড়িতে আসি। এখন বাচ্চা জন্ম দিয়ে ফেনীর এক ছেলের সঙ্গে চলে গেছে সে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে ইমুর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। ইমু বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ির দ্বারা মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার আমি। এ কারণে বাচ্চা হাসপাতালে রেখে অজ্ঞাত স্থানে চলে আসছি। এদের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ। আমি কারও সঙ্গে যাই নাই।’
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘নবজাতক শিশুটি নানি, দাদি, ফুফু ও বাবার কাছে হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। শিশুটি যাতে তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করছি। এই ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিশুর বাবা।’