ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রবীন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে কুটুই গ্রাম থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে কুটুই গ্রামের দেবেন্দ্র সন্ন্যাসীর মন্দিরের পাশে বটগাছে রবীন্দ্র বিশ্বাসের লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পর দিন রোববার চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাবা খুব কষ্ট করে সংসার চালাতেন। আমাদের কোনো জমিজমা না থাকায় তিন মাস আগে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ৯০ শতক জমি বর্গাচাষ করেন। কিন্তু গত ৮ এপ্রিলের শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ করে তিন বোনের বিয়ে দেন বাবা। সেই ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারেননি। অভাবের কারণে বাবা এলাকার অনেক দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সুদে টাকা আনেন। সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে আসেন। আমার বাবা কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।’
৮ নম্বর ভলাকুট ইউপি সদস্য প্রতুল ভৌমিক জানান, গ্রামের মন্দিরের পাশের বটগাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন রবীন্দ্র বিশ্বাস। তিনি মাছের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী অসুস্থ, সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে তাঁর ৯০ শতক জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে ইদানীং হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। হতাশা থেকে রবীন্দ্র আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।