২৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামে পাটকল শ্রমিকনেতা আব্দুল নবী ওরফে লেদুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল নবী চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। পাটকল শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া তিনি বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ২৭ জুলাই অভিযুক্ত ওই নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আব্দুল নবী ওরফে লেদুকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেয় দুদক। ২০২৩ সালে ৫ জুলাই তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। এ সময় দুদক সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধান চালিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছে। দুদক বলেছে, ১৯৭৬ সালে আব্দুল নবী ওরফে লেদু বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের কার্পেট বিভাগে একজন শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা লেদু বর্তমানে একাধিক বাড়ির মালিক, পরিবহন ব্যবসা, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও ব্যাংক-ব্যালেন্সের মালিক হয়েছেন।’