ভূমি জটিলতা নিরসন না করে শুরু করা প্রায় চার হাজার কোটি টাকার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধদের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামে তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ নুশরাত জাহানের আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসা, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে হালিশহরের ওয়াসার সুয়ারেজ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা চেয়ে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক এই মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক সৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক প্রকাশ ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী।
গত ৪ এপ্রিল ওয়াসার প্রকল্প কাজে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
ওয়াসার আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ স্বত্ব, স্বার্থ, অধিকার, দখলহীন ব্যক্তি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারানুযায়ী অচল হয়।
৪ হাজার কোটি টাকায় নির্মিতব্য চট্টগ্রাম ওয়াসার সুয়ারেজ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দই তরফা শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞার আবেদনও খারিজ করা হয়।
ভূমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত উক্ত মামলা অচল হওয়ায় আদালত কর্তৃক অদ্য প্রচারিত আদেশের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৪ হাজার কোটি টাকার সুয়ারেজ প্রকল্পের কাজে আর কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা রইল না।
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
ওয়াসার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্বান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, অ্যাডভোকেট মো. হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন (আরমান) প্রমুখ। বাদী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আফরোজা আকতার ও এডভোকেট মামুনুল হক প্রমুখ।
জানা যায়, পাঁচ দশক আগে থেকে ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্প নিয়ে হালিশহর মৌজায় ১৩৫ একর জায়গার ডি রিকুইজিশন আদেশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে সংস্থাটির। এর সমাধান না করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছিল ওয়াসা। এ নিয়ে কয়েক হাজার ভূমিমালিক ক্ষুব্ধ। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল।