লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগ নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেলকে সভাপতি ও হারুন অর রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়। কমিটি গঠনের পর থেকে তাঁরা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
কমিটির সভাপতি নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের জোর গুঞ্জন শুনা যায়। সাধারণ সম্পাদক হারুন রশিদ চৌধুরীর নামে রয়েছে চাঁদাবাজির মামলাসহ হত্যা মামলা। সেই মামলা এখনো বিচারাধীন। এ ছাড়া কমিটি ঘোষণার দুই দিন পর সহসভাপতি মাহবুব আলম শিপুলের বিরুদ্ধে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
কমিটি গঠনের দুই মাসের মাথায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি চাঁদাবাজিসহ তিনটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সব কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা ছাত্রলীগ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগ একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে।
জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের ১৯ দিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে শোকবার্তার প্রেস রিলিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে, যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রবিরোধী।
কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেল বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশমতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার রাইট্রেশান নাই আমাদের। আমি ছাত্রলীগের শোকবার্তার প্যাডে কোনো স্বাক্ষর করিনি।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছি। যদি তাঁরা ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে শোকবার্তা দিয়ে থাকেন তাহলে এটা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। আমি আগে শুনিনি। ঘটনা সত্য হলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।