পটিয়া হাসপাতালে কোটি টাকার দুটি অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অল্প টাকায় মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব এসব অ্যাম্বুলেন্স দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আজ শনিবার আকস্মিক পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি দুটি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সামশুল হক চৌধুরী। এ সময় কোনো সদুত্তর না পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেন। যথাযথ দায়িত্ব পালন সম্ভব না হলে পটিয়া ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সভায় পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলার ও সাংবাদিক আবেদ আমিরীকে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেন এমপি।
বৈঠকে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সামশুল হক চৌধুরী।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের এমন করুণ অবস্থা ছাড়াও হাসপাতালের চারদিকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। অথচ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য গত চার মাসে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
হুইপ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পটিয়ায় টিকা কেলেঙ্কারির যে প্রচার করা হয়েছে এর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই দায়ী। টিএইচও নিজে অবহিত থাকা সত্ত্বেও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পটিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। হাসপাতালে অভ্যন্তরে সন্ধ্যায় মাদকসেবীদের আড্ডা, বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং স্পেস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম্য চললেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।