চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়া রোগীদের হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহত রোগীদের দেখতে এসে তিনি এ কথা জানান।
নওফেল বলেন, ‘চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও অনেক রোগী ভর্তি আছেন। সেখানে থাকা মুমূর্ষু রোগীদের ঢাকায় নেওয়ার পর চমেক বা অন্যান্য জায়গায় থাকা আহত রোগীদেরও হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হবে।’
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। ওই সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও অনেকগুলো ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে কনটেইনার ডিপোর আশপাশের তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে কাজ করছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।