মামাতো-ফুপাতো বোন সানজিদা (১৫) ও ফাহমিদা (১৬)। একই সঙ্গে ঢাকা থেকে একজনের নানাবাড়ি অন্যজনের দাদাবাড়ি লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছিল তারা। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের পালেরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। এই ঘটনায় চালককে আটক করা হয়েছে।
নিহত সানজিদা লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন মুনশি বাড়ির আরিফুর রহমানের মেয়ে। সে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। একই এলাকার কাজি বাড়ির আলমগীর হোসেনের মেয়ে ফাহমিদা। সে ঢাকার সেগুনবাগিচা বেগম রহিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত সানজিদার চাচা শরীফুল ইসলাম ও ফাহমিদার বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে সানজিদা বাবা-মাসহ ঢাকায় ফাহমিদাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুক্রবার রাতে তারা বাসে করে রওনা দেন। ফাহমিদার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে নেমে যান। কিন্তু ফাহমিদা পরদিন সানজিদাকে নিয়ে নানার বাড়িতে ফিরবেন এমন বায়না ধরে লক্ষ্মীপুরে মামার ভাড়া বাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে বাড়িতে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুই কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে নির্বাক পুরো পরিবার; গ্রামজুড়ে নিস্তব্ধতা। বিকেলে তাঁদের রায়পুরের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন মুনশি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।