নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত ও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ওছখালী বাজার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল থেকে ওছখালী বাজারের জিরো পয়েন্টের এক পাশে জড়ো হতে থাকে সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের সমর্থকেরা। একই সময় জিরো পয়েন্টের অপর প্রান্তে জড়ো হয় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সমর্থকেরা। এর কিছুক্ষণ পর উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং হাতাহাতির হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরে প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের লোকজন মাহবুবের রহমান শামীমের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
মাহবুবের রহমান শামীমের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশান বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহবুবের রহমান শামীমের পক্ষে ধানের শীষের প্রচারণা ও গণসংযোগ করছিলাম। সন্ধ্যায় আমাদের লোকজন ওছখালী জিরো পয়েন্টে এলে প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের লোকজন উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে তাতে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরপর তারা বাজারে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।’
প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন আলো জানান, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া মাহবুবের রহমান শামীমের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় আমাদের নেতা-কর্মীরা একটি মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। মশাল মিছিল শুরুর প্রাক্কালে শামীমের লোকজন তাতে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েক নেতা-কর্মী আহত হয়। পরে পুনরায় আমাদের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেন, সন্ধ্যার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে পুলিশ ও পরে নৌবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।