হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে চিনির কারখানায় আগুন ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ করছে ১৮ ইউনিট

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলের আগুন ছয় ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ঘটনায় কারখানার এক শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারখানার দায়িত্বরত প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসমত জানান, আগুনে মোহাম্মদ আলম (৩০) নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তিনি কারখানায় কাজ করছিলেন। 

এর আগে, আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। 

এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্ল্যান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। এর কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।  

কারখানার এক কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস গুদামের ওপর থেকে পানি ছিটাতে পারছে না। পাশেই নদী রয়েছে। পানির অভাব নেই। হেলিকপ্টারের সাহায্যে আগুন নেভানো হলে হয়তো ফিনিশড গুডের গুদাম রক্ষা করা যাবে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। 

রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভাগীয় কমিশনার, উন্নয়ন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, আগুন এখনও কারখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বাইরে আগুন লাগার কোনো শঙ্কা নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণে নৌ-বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটও কাজ করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে। 

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কারখানা সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্ল্যান্টে। এর মধ্যে প্ল্যান্ট–১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্ল্যান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে, গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে এস আলমের আরেকটি গুদামে আগুন লেগেছিল।

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টেদেবে পাহাড়ি ভোটার

চাঁদপুরে হেফাজতে নির্যাতন, ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন: তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনা

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ভোটের মাঠে যারা বাধা হবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না: আমীর খসরু