ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ট্রেনে স্ট্রোক করে নুর হোসাইন (৪২) নামের এক ওয়ালটন সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগি থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুর হোসাইন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কাকসার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার ওয়ালটন সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত ছিলেন। পরিবারে স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কেল থেকে ফেনী রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়, ট্রেনে এক যাত্রী স্ট্রোক করেছেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফেনী স্টেশনে অবস্থান নেয়। ট্রেনটি সাড়ে ৮টার দিকে ফেনী পৌঁছালে তাঁকে অচেতন অবস্থায় নামিয়ে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নুর হোসাইনের বাবা অহিদুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় ট্রেনে ওঠে। পরে এক সহযাত্রী ফোনে জানায়, ছেলের অবস্থা ভালো নয়। তখনই বলি, যেন ফেনীতে সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আমরা রওনা দিই। মাঝপথেই খবর আসে, সে আর বেঁচে নেই।’
কুইক রেসপন্স ফেনী টিমের সদস্য জয় বলেন, ফেনী মডেল থানার পুলিশের নির্দেশে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গিয়ে নুর হোসাইনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর ধারণা, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
ওয়ালটনের ফেনী সার্ভিস পয়েন্টের কর্মী মো. আবু সাইম বলেন, ‘আমরা গ্রুপে খবর পেয়েই স্টেশনে ছুটে যাই। সহকর্মীর এমন মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত ও শোকাহত।’
ফেনী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন জানান, ‘গুণবতী এলাকায় পৌঁছানোর পর নুর হোসাইন বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং সম্ভবত সেখানেই স্ট্রোক করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’