কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ঋণের চাপ সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে কুহিনূর বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্বজনেরা জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে তিনি কীটনাশক পান করেন।
কুহিনূর বেগম উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তেতাভূমি (বাঁশতলী পুকুরপাড়) গ্রামের নজরুল ইসলাম নজুর স্ত্রী।
কুহিনূর বেগমের ছেলে রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমার আব্বা ব্যবসার প্রয়োজনে মায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তিতে ও লোকজনের কাছ থেকে ধার করে টাকা নেন। এসব টাকা আব্বা যথাসময়ে পরিশোধ না করায় পাওনাদারেরা বিভিন্ন সময় আম্মাকে চাপ প্রয়োগ করেন। সেই চাপ সইতে না পেরে গত সোমবার বিকেলে আম্মা জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’
রিয়াজ হোসেন আরও বলেন, ‘তখন আম্মাকে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরদিন গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আম্মার মৃত্যু হয়।’
এদিকে এই খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সৌরভ হোসেন গিয়ে কুহিনূর বেগমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, কুহিনূর বেগমের বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা আত্মহত্যা। এ ঘটনায় তাঁর মেয়ে রিপা আক্তার থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।