হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বাতাস বইলে তবেই সাগরপারের মানুষ যাবে আশ্রয়কেন্দ্রে

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রামের সাগর পাড় থেকে

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের জেলেপাড়া এলাকাটি একেবারে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা। এখানে ঝুপড়ি ঘরে অন্তত এক হাজার মানুষের বসবাস। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে প্রথমে তাদেরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে, এরপরও তারা ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। তারা জানায় বাতাস বইলে তবেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।

জেলেপাড়া এলাকায় ঘেরে জাল ফেলে শ্রমিক হিসেবে মাছ ধরছিলেন চারুবালা। তাঁর দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। সবাই সাগর পারেই থাকেন। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই চারুবালার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু দূরেই আশ্রয়কেন্দ্র। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ে ঘরেই থেকেছি। এবারও নাকি বড় ঘূর্ণিঝড় আসছে। বাতাস ছুটলে তখন যাব, তার আগে যাব না।’

জানা গেছে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার ফখরুজ্জামান জেলেপাড়া এলাকা গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার পরিদর্শন করে গেছেন। এখানকার মানুষজনকে সচেতন করেছেন। আজকের মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। কিন্তু কে শোনে, কার কথা। জেলেপাড়ার মানুষ যেন বুক চিতিয়ে মোখার সঙ্গে লড়তে চায়।

জেলেপাড়ায় থাকেন রহিমা বেগম নামের আরেক নারী। তাঁর একটি চায়ের দোকানও আছে। বাতাস বইলেও তিনি দোকান ফেলে যাবেন না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে দোকান কে দেখবে? দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট হবে। সে জন্য দোকান ফেলে যাব না।’

রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত সখিনা বানু। পাশে কান্না করছে তাঁর চার বছরের সন্তান পাখি আক্তার। উত্তরবঙ্গ থেকে এসে এখানে স্বামীর সঙ্গে ঘর করছেন তাঁরা। সখিনা বলেন, ‘হারানোর আর কিছু নেই আমাদের। কষ্টের জীবন, গেলে গেলই। আশ্রয়কেন্দ্রে যাব না।’

জেলেপাড়া থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উত্তর কাট্টলী রানীরহাট এলাকাটি একেবারে সাগরপারে। এখানে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের বাস। ৯০ ভাগই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুই দিন ধরে সাগরে মাছ না ধরার কারণে কষ্টে আছেন তাঁরা। এখানে একটি দোকানে অলস সময় পার করছেন জেলে মানিক দাশ ও সন্তোষ দাশ এবং ব্যবসায়ী মো. জাহেদুল ইসলাম। তাঁরা দোকানের টেলিভিশনে ঘূর্ণিঝড়ের খবর দেখছিলেন। তাঁরা চান দ্রুত ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাক। আবারও তাঁরা যাতে সাগরে যেতে পারেন, সেই আশায় দিন যাপন করছেন।

মানিক দাশ বলেন, ‘এক দিন সাগরে না গেলে ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ২৪ ঘণ্টা কাজ করলে, মাছ ধরে ১৫ হাজার টাকা পাই। এখন দুই দিন মাছ না ধরায় পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। প্রশাসনের লোকজন এসে সচেতন করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছেন। কিন্তু কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেননি। তাঁরা যদি সাহায্য করতেন, তাহলে বাসায় বসে থাকলেও কোনো সমস্যা হতো না।’ একই কথা বলেন সন্তোষ দাশ।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি: পাহাড়-টিলা সাবাড়, ভরাট হচ্ছে পুকুর

কক্সবাজারের চকরিয়া: মাতামুহুরীতে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ বিএনপি নেতার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বক্তব্য: চবি ভিসি-প্রোভিসি ৭ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ, ছাত্রদল-শিবিরের উত্তেজনা

স্ত্রীকে ‘ভাবি’ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, ছেলেকে বানিয়েছেন ভাতিজা

মিরসরাইয়ে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার

চবির সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

কোম্পানীগঞ্জে কৃষকের দুটি গরু জবাই করে পালাল দুর্বৃত্তরা

১৫ দিনেও পরিচয় মেলেনি সীতাকুণ্ডে উদ্ধার হওয়া পোড়া নারীর মরদেহের

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা