হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের নালায় নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে করবে না করপোরেশনে চাকরি

পটিয়া (চট্টগ্রাম)  প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ সালেহ আহমেদের একমাত্র ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরি দিয়ে কথা রেখেছিলেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। কিন্তু চলতি মাসে দুই দিন চাকরি করার পর সে আর ফিরে যায়নি তার কর্মস্থল ওয়াসা মোড়ের সিটি করপোরেশনের সিএনজি ফিলিং স্টেশনে।  

জানা যায়, সাদেকুল্লাহ মাহিন এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে সিটি করপোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদে অস্থায়ী নিয়োগ দেন গত মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

এ বিষয়ে মাহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল সিএনজি পাম্পে স্লিপ লেখার কাজ করার। কিন্তু চলতি মাসে আমি দুই দিন কাজ করেছি। আর এ দুই দিনেই আমাকে দিয়ে স্লিপ লেখা আর গাড়িতে গ্যাস ঢোকানোর দুটি কাজ একসাথে করিয়েছেন। আমার পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমি আর অফিসে যাইনি। যদিও আমার চলতি মাসে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা।’  

সাদেকুল্লাহ মাহিন আরও বলেন, ‘এ পদে চাকরি না করার জন্য খুব দ্রুত লিখিতভাবে সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবরে দরখাস্ত পাঠাব। আমি আশা করেছিলাম করপোরেশনের কোনো অফিসে অফিস সহকারীর পদে চাকরি পাওয়ার।’ 

মাহিন বলেন, ‘আমাকে সিএনজি পাম্পে স্লিপ লেখার যে পদ দেওয়া হয়েছে, সেই পদে না রেখে আমাকে দিয়ে গ্যাস ভরার কাজ করিয়ে কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে। আমাকে কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। আমার পদ-পদবি বা আমার কাজ কী, তা-ও বলা হয়নি স্পষ্ট করে।  বাবাকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের দুঃসময়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি মনে করেছিলাম মা আর বোনকে নিয়ে মোটামুটি ভালো চলতে পারব। আমি এ ব্যাপারে প্রকৌশলী সুদীপ বসাককে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে স্লিপ লেখার কাজে নিয়োজিত রাখতে। তিনি আমাকে বলেন, এ পদে থাকলে দুটি কাজই করতে হবে। তার কিছু করার নেই।’ 

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক জানান, সাদেকুল্লাহ মাহিন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি অবগত নন। তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে সেই পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্লিপ লেখার কাজের পাশাপাশি কারো অনুপস্থিতিতে গাড়িতে গ্যাস ভরার দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে যদি সে চাকরি না করে আনঅফিসিয়ালি কাউকে না জানিয়ে অফিসে না আসে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা তার চাকরি ছাড়ার কোনো কাগজপত্র পাইনি। আমরা জানি সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা।’ 

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বৃষ্টির পানির স্রোতে নগরীর মুরাদপুরে পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ। তাঁর বাড়ি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা গ্রামে। নিখোঁজ হওয়ার পর ছালেহ আহমেদের বাসায় গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি ছালেহ আহমেদের পরিবার থেকে একজনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ছালেহ আহমেদের একমাত্র ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিনকে ১২ অক্টোবর চসিক পরিচালিত সিএনজি ফিলিং স্টেশনে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে তুলে দিয়েছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। 

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার