হোম > সারা দেশ > রাঙ্গামাটি

ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি পার্বত্য ছাত্র পরিষদের

রাঙামাটি প্রতিনিধি 

পার্বত্য পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাহাড়ে ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফসহ আঞ্চলিক দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সব সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। আজ সোমবার সকালে পার্বত্য ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ‘তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব’ দাবির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরসভা থেকে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে পার্বত্য ছাত্র পরিষদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহসাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে, তা আর কোনো অবস্থাতেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। গত ১০ মে ঢাকায় আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আলোচনা হয়। আলোচনার পর পুরো পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

পার্বত্য পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তাদের অভিযোগ, দলটির অন্যতম নেতা মাইকেল চাকমা, যার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ড, মানুষ অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর দল ইউপিডিএফ পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা কাজে জড়িত। পাহাড় আজ অশান্ত তাঁদের কারণে। পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। সেই একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

পার্বত্য পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান বলেন, দেশের অখণ্ডতা, পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইউপিডিএফের অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করা না হলে তিন পার্বত্য জেলার শান্তিকামী মানুষকে নিয়ে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়া হবে।

সমাবেশ থেকে আরও যেসব দাবি জানানো হয়—দেশদ্রোহী মাইকেল চাকমা, সন্ত লারমা, প্রসীত খীসা, প্রকৃত রঞ্জন চাকমা, দেবাশীষ রায়, ইয়েন ইয়েনসহ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সব গডফাদারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা। ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদের অপসারণ করা। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বন্ধে নতুন করে বিজিবির বিওপি স্থাপন করা। পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রাখতে ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিল করে বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার উদ্যোগ নেওয়া।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি: পাহাড়-টিলা সাবাড়, ভরাট হচ্ছে পুকুর

কক্সবাজারের চকরিয়া: মাতামুহুরীতে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ বিএনপি নেতার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বক্তব্য: চবি ভিসি-প্রোভিসি ৭ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ, ছাত্রদল-শিবিরের উত্তেজনা

স্ত্রীকে ‘ভাবি’ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন, ছেলেকে বানিয়েছেন ভাতিজা

মিরসরাইয়ে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার

চবির সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

কোম্পানীগঞ্জে কৃষকের দুটি গরু জবাই করে পালাল দুর্বৃত্তরা

১৫ দিনেও পরিচয় মেলেনি সীতাকুণ্ডে উদ্ধার হওয়া পোড়া নারীর মরদেহের

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা