দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, পানি নিষ্কাশন, নৌযান চলাচল ও মশার বংশবিস্তার রোধে কচুয়ায় সুন্দরী খালের কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোঁয়া এলাকায় সুন্দরী খালের কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান শিশির বলেন, সুন্দরী খালকে নান্দনিক সাজে সজ্জিত করার লক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। এই খালের সঙ্গে ছোট-বড় অনেকগুলো শাখা খাল সংযুক্ত।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘সুন্দরী খাল আমাদের কচুয়া উপজেলার ঐতিহাসিক খাল। বক্সগঞ্জ থেকে চারটভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সুন্দরী খালের অংশ কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। খালে আটকে যাওয়া কচুরিপানা পচে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী, মশার বংশবিস্তার, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি না হওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আলমগীর তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান, শাহজালাল সিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাসার শিকদার, যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, রোবেল হোসেন, ডালিম, মাইকেল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসাইন, সুমন গাজীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।