ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। এর আগের দিন আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ উপলক্ষে চট্টগ্রামে বঙ্গোপসাগরের তীরে বসেছিল পর্যটকের মিলনমেলা। পারকি সৈকতের প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের চর, লুসাই পার্ক, মোহনা পার্কসহ সব জায়গা কানায় কানায় পূর্ণ। উৎসবমুখর ভ্রমণপিপাসুদের উচ্ছ্বাসের কাছে তীব্র গরমও হার মানছে। পাশাপাশি পারকি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বেড়িবাঁধ ফুলতলী এলাকায় বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা আরিবা অ্যাগ্রো পর্যটন স্পটও পর্যটকে ভরপুর ছিল।
ঢাকা থেকে আসা নুসরাত জাহাজ পপি বলেন, ‘কর্ণফুলী টানেল পার হয়ে সমুদ্র দেখতে এসেছি। অনেক মানুষ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করছি, ছবি তুলছি, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়েছি। সন্ধ্যার পর সৈকতে আলো বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলে আরও কিছুক্ষণ থাকতাম।’
আরেক পর্যটক কল্লোল বড়ুয়া বলেন, ‘লম্বা ছুটির শেষ দিনে পারকি সৈকতের নোনাজলে গোসল করার জন্য এসেছি। এখানে প্রশান্তি মেলে।’
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সড়কে যানজট নিরসনে মোতায়েন ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মী এবং থানা-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, গত কয়েক দিনের মধ্যে শুক্রবারেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছেন। তাঁদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে পুলিশ।
এ নিয়ে কথা হলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের সব ধরনের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।