অচেনা এলাকার উদ্দেশে ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে আসে শিক্ষার্থী মো. রমজান (১২) ও মো. সানি (১১)। পরে খোঁজ নিয়ে গতকাল রোববার তাদেরকে স্বজনদের হাতে তুলে দেন মতলব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহন।
পালিয়ে আসা শিক্ষার্থী রমজান হলো শরীয়তপুরের ঘোসাইরহাট উপজেলার পাচকাঠি গ্রামের আবুল বাশার মোল্লার ছেলে। তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মা রিনা বেগম বিভিন্ন বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। অপর শিক্ষার্থী মো. সানি বিক্রমপুরের সৈয়দ সরকার ও মোসাম্মৎ তাসলিমা আক্তার দম্পতির ছেলে। তারা রাজধানীর বাংলামোটর হাতিরপুল এলাকার আহছানউল্লা হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী।
রমজান জানায়, পড়ালেখার চাপ বেশি হওয়ায় তারা মাদ্রাসা থেকে অচেনা এলাকার উদ্দেশে পালিয়ে আসে। মতলবে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, তারা গত শনিবার সকালে মাদ্রাসার কাউকে না বলে প্রথমে গুলিস্তান আসে। দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে সদরঘাট চলে আসে। সেখান থেকে তারা চাঁদপুরের লঞ্চে ওঠে। বিকেলে চাঁদপুর টার্মিনালে লঞ্চটি আসার পর লঞ্চঘাট থেকে মতলবের একটি সিএনজিতে ওঠে তারা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মতলব দক্ষিণের বাইপাস সড়কের কাছে নেমে হাঁটাহাঁটি করতে থাকে রমজান ও সানি। সেখানে রাজন ও শরীফ নামের স্থানীয় দুই যুবক জিজ্ঞেস করলে তারা পালিয়ে এসেছে বলে জানায়। পরে তাদেরকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহনের নবকলস ওয়াপদার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন বলে ওই যুবকেরা জানান।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহন বলেন, ‘প্রথমে তাদের কাছ থেকে পরিচয় ও ঠিকানা জানতে চাইলে উল্টাপাল্টা জবাব দেয়। একপর্যায়ে ভয় দেখালে সঠিক ঠিকানা বলে। পরে তাদের স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন এলে রমজান ও সানিকে হস্তান্তর করা হয়।’