চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে একটি মৃত গাঙ্গেয় ডলফিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর খুলশিস্থ ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরিতে এই ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলে।
চলতি বছরের গত ১ আগস্ট চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদ চর এলাকার কর্ণফুলী নদী থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়েছিল। কর্ণফুলী থেকে উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট করেছিলেন চবি’র প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, চট্টগ্রাম বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জার ইসমাইল হোসেন এবং বন বিভাগের কর্মী অজয় দেব।
ডলফিনের ময়নাতদন্তে অংশ নেন চবি’র হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সিভাসু ভেটেরিনারি হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ড. ভজন চন্দ্র, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার এবং ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
ময়নাতদন্ত কার্যক্রমে অংশ নেওয়া অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া জানান, কর্ণফুলী নদী উদ্ধার করা মৃত ডলফিনটিকে শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিন বলা হয়ে থাকে। এটি বিপন্ন প্রজাতিভুক্ত একটি প্রাণী। যাদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। এই গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিমান প্রাণীটি নদীর স্বাস্থ্য উপলব্ধির বায়োলজিক্যাল প্যারামিটার। গবেষকদের মতে, বর্তমান পৃথিবীতে এই উপপ্রজাতির আর মাত্র ১২ শ থেকে ১৮ শ টি ডলফিন অবশিষ্ট রয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে ডলফিনটির ফুসফুসের সংক্রমণ এবং পিঠের দিকে একটি আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনটি জালে আটকা পড়ে শ্বাস বন্ধ এবং পরবর্তীতে পিঠে আঘাতের কারণে ডলফিনটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।