মালয়েশিয়াগামী ছোট ভাইকে কক্সবাজার থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন মো. হোসেনসহ তিনজন। ছোট ভাইকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাস উল্টে হতাহতের ঘটনায় মারা গেছেন তিনি।
নিহত মো. হোসেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে। চৌদ্দগ্রামের দুর্ঘটনায় হোসেনসহ ৫ যাত্রী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
নিহতের ভাই মো. ফিরোজ জানান, তাঁদের ছোট ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সঙ্গে আসেন বড় ভাই মো. হোসেন, মো. ফিরোজ ও তালতো ভাই মো. মুক্তার আহম্মেদ।
আকাশ বিমানে ওঠার পর গতকাল রাত ২টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে রিলাক্স পরিবহনের বাসে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ফিরোজ, হোসেন ও মুক্তার। ফিরোজ বলেন, ‘পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। এসে আমার ভাই হোসেনসহ ৫ যাত্রী নিহত হন।’
ফিরোজ আরও বলেন, ‘আমার ভাই হোসেন নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন। ভাইয়ের আর বাড়ি ফেরা হলো না। দুর্ঘটনায় আমি হাতে ও মাথায় আঘাত পেয়েছি। আমার তালতো ভাইও আহত হয়েছেন।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাস আজ সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। এতে ৫ ব্যক্তি নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।’