হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

রাঙ্গুনিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত 

আকাশ আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে করোনা মহামারির প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও পাঁচজন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। এভাবে শিক্ষকদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ অন্য শিক্ষকদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬ নম্বর পোমরা ইউনিয়নের বাচাশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিজিয়া সুলতানার শরীরে গত ১২ জানুয়ারি প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একই বিদ্যালয়ের বাকি তিন শিক্ষক নমুনা পরীক্ষা দেন। পরদিন ১৩ জানুয়ারি ওই স্কুলের আরও দুই শিক্ষকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর শিক্ষকদের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে ভীতি জাগতে শুরু করে। শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকার পর শিক্ষকেরা শনিবার থেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে শুরু করেন। এতে উপজেলা পৌর সদরের জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ছাড়া গত রোববার ১১ নম্বর চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন এবং সোমবার তিনজন শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়। একই দিন ৭ নম্বর বেতাগী ইউনিয়নের পশ্চিম বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নম্বর পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নম্বর রাজানগর ইউনিয়নের উত্তর ঘাগড়া সেগুনবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পৌরসভার ঘাটচেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়। 

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ঘাটচেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেবাশীষ মুৎসুদ্দি ও রিংকু প্রভা শীল নামের দুজন, ৪ নম্বর মরিয়মনগর ইউনিয়নের নজরের টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুরভী বড়ুয়া নামের একজন, উত্তর পারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বীণা প্রভা দাশ, নাহিদা ইয়াসমিন ও পুষ্প রাণী দে নামের তিনজন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে যান।

এদিকে করোনার ভয়াবহ বিস্তারে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। শিক্ষকেরাও বিদ্যালয়মুখী হচ্ছেন আতঙ্ক আর ঝুঁকির মধ্যে। অনেক বিদ্যালয়ে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান। তা-ও পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয় থেকে ধার করে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিন্দোল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিদিনই দু-তিনজন করে শিক্ষক করোনায় ক্রান্ত হচ্ছেন। যাঁদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে, তাঁদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষককে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে এসেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।’ এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের নির্দেশনা মতে, যেখানে শিক্ষকের স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

মহাসড়কে দোকান যানজটে ভোগান্তি

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টে দেবে পাহাড়ি ভোটার

চাঁদপুরে হেফাজতে নির্যাতন, ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন: তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনা

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ