খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে নিজ ঘর থেকে প্রবাসীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতের ভাইসহ তিনজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত প্রবাসীর নাম সাজ্জাদ হোসেন (২৪)। তিনি উপজেলার সেমুতাং গ্যাসফিল্ড এলাকার মো. মাসুদ রানার ছেলে। কাতার প্রবাসী ছিলেন সাজ্জাদ।
আটককৃতরা হলেন- মৃতের ছোট ভাই মো. মোস্তাফিজুর রহমান (১৮), আত্মীয় মো. আবু বকর ও প্রতিবেশী সিএনজিচালক ফারুক হোসেন।
জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে নিজ ঘরে সাজ্জাদকে কেউ গলা কেটে হত্যা করে রেখে যায়। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মানিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান জানান, গত পাঁচ-সাত বছর ধরে সাজ্জাদ কাতারে থাকেন। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে তিনি নতুন পাকা ঘর নির্মাণ করছিলেন। এ জন্য তাঁর বাব-মা অদূরে নানার বাড়িতে রাতে থাকেন। নির্মাণাধীন বাড়িতে কলেজপড়ুয়া ছোট ভাই মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে (১৮) নিয়ে সাজ্জাদ থাকত। তাই গত কয়েক দিন ধরে মায়ের নিকটাত্মীয় মো. আবু বকর ও প্রতিবেশী সিএনজিচালক মো. ফারুক হোসেন রাতে তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন এবং সেখানেই থাকতেন।
গতকাল সন্ধ্যার দিকেও তাঁরা চারজন এক সঙ্গে ছিলেন। একপর্যায়ে আবু বকর ও ফারুক মোবাইল রিচার্জের কথা বলে বেড়িয়ে যান। পরে মৃতের ছোট ভাই মোস্তাফিজও দোকানে যান। কিছুক্ষণ পরে আবু বকর ও ফারুক ঘরে ফিরে দেখেন বিছানায় সাজ্জাদের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় তাঁরা আর্তচিৎকারে শুরু করেন। ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
উপপরিদর্শক আরও জানান, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের ছোট ভাইসহ তিনজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।