কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও উগ্রপন্থী রোহিঙ্গা সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া (৩৪) নামে এক আরসা কমান্ডার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।
লালাইয়া তানজিমার খোলা ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-ই/ ৩-এর বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল মজিদ হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি আরসার কমান্ডার ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের ২০-২৫ জনের একটি দল ৮ এপিবিএনের আওতাধীন ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ১৯ নং ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের আমিন মাঝির ঘরের পাশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে।’
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তিন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়০। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৭, এ-১৭ ও এ-৮ ব্লকের বাসিন্দা যথাক্রমে কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও সলিমউল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।
এপিবিএন কর্মকর্তা ফারুক বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে, পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।