চট্টগ্রাম নগরীতে দুদিনের ব্যবধানে প্রকাশ্যে কয়েক দফা ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তৎপর হয়েছে পুলিশ। তাঁদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুদিনে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৬০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণসহ নানান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্র জিইসি মোড় এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল হয়। এই মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৎপর হয় পুলিশ।
পরে পুলিশ ওই ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে খুলশী থানার এক উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনার এক দিন পরে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় নগরের পাঠানটুলী সড়কের নাজিরপোল এলাকায় ফের ঝটিকা মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নগরের সদরঘাটে মিছিল প্রস্তুতিকালে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিব সাত্তি বলেন, মিছিলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতির খবরে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগের ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার রাতেনগরের টাইগারপাস এলাকা থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপকমিশনার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ৭২ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গত রাতে আরও ২৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় সিএমপি।