হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

কক্সবাজারে সুপারির বাম্পার ফলন, বাজারে বেচাকেনার ধুম

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজারে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চলতি মৌসুমে কক্সবাজারে সুপারির ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় এ বছর ১২ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়েছে। বাজারে তাই সুপারি বেচাকেনার ধুম পড়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান চাষি ও সংশ্লিষ্টরা। আকারে বড় ও স্বাদে মজা, কক্সবাজারের সুপারির দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলাদা কদর রয়েছে।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার সুপারি ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে সুপারি আমদানি অনেকটা বন্ধ রয়েছে। এতে কক্সবাজারের সুপারির চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৩৩টি ক্যাম্পও সুপারির বড় বাজার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর (৮ হাজার ৬৯৪ একর) জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এতে সুপারি উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।

নভেম্বর মাসের বাজারদর অনুযায়ী জেলায় ৩৯৬ কোটি টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়েছে। অবশ্য কৃষি অফিসের হিসাবের চেয়ে বেশি সুপারি উৎপাদন হয়েছে বলে জানান চাষি ও ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি সুপারি উৎপাদন হয় টেকনাফে। এ উপজেলায় ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। সমুদ্র উপকূলের উখিয়ার জালিয়া পালং, টেকনাফের বাহারছড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের সুপারির আকার বেশ বড় এবং দামও বেশি।

টেকনাফের শাপলা চত্বর এলাকার ব্যবসায়ী আইয়ুব মিয়া বলেন, এক পণ (৮০টি) সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া এক কেজি শুকনা সুপারির দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সাবরাং ও বাহারছড়ার সুপারি বর্তমানে এক পণ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সুপারির সবচেয়ে বড় ব‍াজার বসে মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া উখিয়ার সোনারপাড়া বাজারে। সপ্তাহে দুই দিন হাট বসলেও প্রতিদিনই এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি করে নিয়ে যান সুপারি। গত রোববার ওই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সুপারি বেচাকেনার ধুম পড়েছে। পুরো বাজারে সুপারির বড় বড় স্তূপ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে সুপারির বাজার সরগরম থাকে।

সোনারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শামসুল আলম ও আবুল কাসেম বলেন, সাপ্তাহিক বাজারে এখানে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি হয়। এ বছর সুপারির দাম ভালো। ফলে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

আকারে বড় ও স্বাদে মজা, কক্সবাজারের সুপারির দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলাদা কদর রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই বাজারে হলদিয়া পালং এলাকা থেকে সুপারি বেচতে এসেছেন আবদুল হাকিম (৫০)। তাঁর তিন কানি জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি ৩ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করেছেন। আরও ৩ লাখ টাকার বেশি সুপারি আছে বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলার অন্তত ৫০টি বাজারে এখন সুপারিরে বেচাকেনা চলছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাজারে পাকা সুপারি বিক্রি চলবে। এরপর শুকনা ও ভেজা সুপারি বাজারে উঠবে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. বিমল কুমার প্রামাণিক। তিনি বলেন, এ বছর ফলন যেমন ভালো হয়েছে, দামও পাচ্ছেন চাষিরা। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে চাষ‍ও বেড়েছে। কক্সবাজারের আবহাওয়া ও মাটি সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী জানিয়ে ড. বিমল কুমার প্রামাণিক বলেন, সুপারি চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। একটি গাছ কয়েক বছর ফলন দেয়। গাছের গোড়া পরিষ্কার ও শুষ্ক মৌসুমে পানি দেওয়া ছাড়া তেমন পরিশ্রম নেই।

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

‘চিকিৎসা না পেয়ে’ গর্ভের সন্তানের মৃত্যু: চট্টগ্রামে ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর: চবির উপ-উপাচার্য

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন

সীতাকুণ্ডে পানবোঝাই পিকআপ খাদে উল্টে দুজন নিহত, আহত ১

পটিয়ায় আগুনে পুড়ল ৭ দোকান

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চট্টগ্রামে হৃদ্‌রোগবিষয়ক সম্মেলন শুরু ১৫ ডিসেম্বর