চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সিএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালতের হাজতখানায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে তদন্তের জন্য মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি মো. মফিজ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশনার মহোদয় তাঁকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে ১৯ জুন আজকের পত্রিকার ছাপা সংস্করণে ‘হাজতকক্ষ যেন ফোন কলের দোকান’ ও অনলাইন সংস্করণে ‘চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনকলের দোকান’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আনা ভিআইপি আসামি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী, দাগি সন্ত্রাসী হাজতখানার একটি কক্ষে অবস্থান করেন। মূলত যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের এই কক্ষে আরাম-আয়েশে রাখা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের চাহিদামতো মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও সংরক্ষিত আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।