ইঞ্জিনের বাফার হুক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সেই ১৮ বগি টেনে পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম নেওয়া হয়। পরে ট্রেনের যাত্রীদের ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্বাঞ্চল রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পটিয়ায় আটকা ট্রেনটা রাতেই ঢাকায় চলে গেছে।
জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে পটিয়া থেকে বগিগুলোকে সার্পোট ইঞ্জিনের সহায়তায় চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে এ দিন রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের পটিয়ার কমলমুন্সির হাট এলাকায় ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে বগি বিচ্ছিন্নের এ ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনের বাফার হুক ভেঙে ১৮ বগি আলাদা হয়ে রেল লাইনে আটকে যায়।
পটিয়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, পর্যটক এক্সপ্রেসের ট্রেনটি রাতে কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় ট্রেন ইঞ্জিনের বাফার হুক ভেঙে বগি ও ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। এরপর সার্পোট (উদ্ধারকারী) ইঞ্জিন চট্টগ্রাম থেকে রাত ১২টা ৫ মিনিটে এসে যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছানো হয়। ওই ট্রেনে ৯০০ যাত্রী ছিলেন। পরে গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন আসে। আটকে পড়া স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাজে লাগানো হয়।