‘সুন্নি মাদ্রাসার হলে সেনাবাহিনীর তল্লাশি, ছাত্রলীগ-আ.লীগের অস্ত্র উদ্ধার’–এমন দাবি করে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। একই সঙ্গে ইমাম মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে খুনিদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দুই মিনিটের এক ভিডিওবার্তায় ভুল এ তথ্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নগর জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা।
ভিডিওবার্তায় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ইমাম ও খতিব মরহুম মাওলানা রইস উদ্দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘আতসহ দ্বীনপ্রেমিক জনতা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। আমরা এহেন হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং আইনের আওতায় এনে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।’
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের উদ্যোগে ৬ মে ঐতিহাসিক বালাকোট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজনে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় তথ্যগত বিভ্রান্ত ঘটায় আমার কথায় দেশের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় তল্লাশি প্রসঙ্গে একটি ভুল তথ্য উঠে আসে। এই ভুল তথ্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বার্তায় ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে ইসলামি শান্তির, ইসলামি শক্তির ঐক্য গড়ে তুলে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৬ মে ঐতিহাসিক বালাকোট দিবস উপলক্ষে নগরীর দেওয়ানবাজারের বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেন, জামেয়া মাদ্রাসার প্রত্যেকটি হলে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং অস্ত্রগুলো ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের। মাইজভান্ডার ও আমির ভান্ডার ঘেরাও করলে সেনাবাহিনী সেখানেও অস্ত্রের সন্ধান পাবে—এমন দাবিও করেছিলেন তিনি।
জামায়াত নেতার এই বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনরা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলেন। এই অবস্থায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন।