কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাকাতির মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
তাঁরা হলেন উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের মুন্সিবাড়ীর ওসমান গনির ছেলে মো. আবু বক্কর (৫০), জোড্ডা পশ্চিম ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামের মিস্ত্রিবাড়ীর লেদু মিয়ার ছেলে বাবুল (৪৫), চট্টগ্রাম পাহাড়তলী সরাইপাড়া প্রাণ পরিমল সড়কের আব্দুল হাকিমের ছেলে শাহীন (৩৯), বটতলী ইউপির জিনিয়ারা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মোস্তফা (২৮) ও জোড্ডা পূর্ব ইউপির পানকরা গ্রামের মোকছোদের ছেলে মো. রাকিব (১৯)।
ওসি জানান, ৬ নভেম্বর গভীর রাতে উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির শংকরপুর গ্রামের তালতলা গ্রামে নাছিমা আক্তার পাখী নামে এক নারী বাড়ির রান্নাঘরের টিন কেটে ছয়–সাতজনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। তারা পরিবারের সব সদস্যের মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরদিন নাছিমা আক্তার পাখী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে একটি স্মার্ট টিভি, একটি ল্যাপটপসহ লুট করা মালামাল উদ্ধার করে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফজলুল হক বলেন, গৃহবধূর মামলার পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নামে। গতকাল থেকে আজ ভোর পর্যন্ত জেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের থেকে লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে।