চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ জাবেরসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্ণফুলী থানা-পুলিশ ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানাতে আজ বিকেল ৪টার দিকে বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির সমর্থকেরা আনন্দ মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
জুমার নামাজের পর থেকে সেখানে দুই পক্ষের সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৪টার পর উভয়পক্ষ পাল্টা মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ জাবেরসহ ১৮ জন আহত হন। আহতদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয়টি গুলি এবং টিয়ার শেল ছোড়ে।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের অভিভাবক সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির পক্ষে আনন্দ মিছিলের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একই স্থানে তারাও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় আমাদের কর্মসূচিটি স্থগিত করে শুক্রবার বিকেলে পালন করার উদ্যোগ নিই। এরপর তারা আবারও পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেন একই স্থানে।
‘বিকেলে আমাদের নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে আমাদের ওপর হামলা করে তারা। হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যপক এম এ মান্নান চৌধুরী, বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহদাত হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অজিত কুমার দাশ, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজু উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিনসহ ১৩ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।’