পরীক্ষার পর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চাপ দিয়েছিলেন মা-বাবা। কিন্তু বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না তাদের। এ জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে একজন চুল কেটে স্বামী, আরেকজন স্ত্রী সেজেছিল। এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক মাস পালিয়ে ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দুই ছাত্রী।
গতকাল সোমবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল। তিনি জানান, উদ্ধার করার পর
র্যাবের কাছে এসব স্বীকারোক্তি দিয়েছে ওই দুই ছাত্রী।
নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচতে ওই দুই ছাত্রী পরিকল্পনা করে একসঙ্গে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর র্যাবের হাতে ধরা পড়ে সোমবার রাতে পুনরায় বাড়ি ফিরেছে তারা।
উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্রীর বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা কুমিল্লার চান্দিনায় পৌঁছে বেশ পাল্টে ফেলে। তাদের মধ্যে একজন নিজের চুল ছোট করে এবং টুপি পাঞ্জাবি পরে পুরুষ সাজে। অপরজন স্ত্রী সেজে বেশ পাল্টে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় পরিবার বিয়ে মেনে নিচ্ছে না বলে গল্প ফাঁদে বাড়িওয়ালার কাছে। তাদের মধ্যে একজনের স্বপ্ন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং অপরজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গত ২৩ নভেম্বর ঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলেন জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে সন্তানদের ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সন্তানদের সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিনে দুই কিশোরীর অন্তর্ধান নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তাদের উদ্ধারে মাঠে নামে র্যাব।