বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার সুযোগ পাবেন বলে জেলেদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকার ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হলেই কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলের মোহনা ও ঘাটে নোঙর করা প্রায় ৭ হাজার মাছ ধরার ট্রলার সাগরে রওনা হবে। এ জন্য গতকাল রোববার সকাল থেকে বেশির ভাগ ট্রলারে জাল, রসদপাতি ও বরফ ভর্তি করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জেলেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনা ফিশারিঘাটে নোঙর করে রাখা ছোট-বড় হাজারো ট্রলারের জেলেরা সাগরে যেতে ঘাটে পৌঁছেছেন।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়া ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন একই কারণে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হয় জেলেদের।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে রওনা হবেন। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্যমতে, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলে প্রায় সাত হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছে।
এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কিছু কিছু এলাকায় উপকূলের কাছাকাছি ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে দুজন জেলে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিপণনের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার জন্য জেলেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, ইলিশের প্রজননকালে সাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকায় মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে সবাই সুফল পাবে।